প্রেগনেন্সি কেয়ার বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম... আমাদের এই ব্লগ টি একটি সমাজ সেবামূলক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঐ সব মায়েদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো.., সন্তান ধারণ করার জন্য কি কি জেনারেল নলেজ থাকা চাই, ফ্রি সেবা দেওয়া হয় এমন সব হেলথ কেয়ার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম পাবলিশ করার চেষ্টা করব ..সন্তান গর্ভে আসার পর আপনি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন ,আপনার সুন্দর একটি লাইভ গঠনে সহযোগিতা করবে আমরা আশা করি আমাদের এই দেশের প্রত্যেকটা মা এবং শিশু সবসময় নিরাপদ থাকুক..

Home Top Ad

Responsive Ads Here

জোড়ার ডিসপ্লেসমেন্ট ও চিকিৎসা ======== জোড়া শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় জোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানব শরীরে...

স্বাস্থ্যকথা

জোড়ার ডিসপ্লেসমেন্ট ও চিকিৎসা

========
জোড়া শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় জোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানব শরীরে ২০৬ টি হাড়ের সমন্বয়ে ছোট বড় প্রায় ১৪৭ টি জোড়া তৈরী হয়। হাড়ের গঠন, জোড়ার আবরণ, লিগামেন্ট ও মাংসপেশীর সমন্বয়ে জোড়ার দৃঢ় অবস্থা বজায় থাকে। শরীরের বিভিন্ন জোড়ার মধ্যে হাত ও পায়ের আঙ্গুলের জোড়া, কটির (হিপ) জোড়া, কনুইর জোড়া এবং কাঁধের জোড়া বেশী ডিসপেস্নসমেন্ট বা স্থানচু্যতি হয়। আগাতে জোড়ার আবরণ ও লিগামেন্ট ইনজুরি হলে জোড়া স্থানচু্যতি হয়। কিছু জোড়া যেমন কাঁধের জোড়া স্থানচু্যতি হয়। জোড়ায় সরাসরি আঘাত, দূর্ঘটনা ও খেলাধূলার সময় পড়ে গিয়ে জোড়া ছুটে যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসা: স্বাভাবিক জোড়ার স্থানচু্যতি অর্থোপেডিক চিকিৎসায় অতীব জরুরী একটি রোগ। অতি দ্রুত এর সঠিক চিকিৎসা প্রদান বাঞ্ছনীয়।

০ ব্যথা ও টিসু্য ইনজুরি কমানোর জন্য জোড়া নড়াচড়া বন্ধ রাখতে হবে।

০ স্থানচু্যতি জোড়ায় সিলিং বা স্পিন্ট (সাপোর্ট) ব্যবহারে ব্যথা ও টিসু্য ইনজুরি কম হবে।

০ বরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পস্নাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে লাগালে ব্যথা কমে আসবে।

০ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।

০ শারীরিক পরীক্ষা ও স্থানচু্যতি জোড়ার এক্স-রে এর মাধ্যমে সহজেই রোগ নির্ণয় করা যায়।

০ রোগীকে অজ্ঞান করে আংশিক বা সম্পূর্ণ স্থানচু্যতি জোড়াকে টান ও প্রতিটান এবং নড়াচড়ার মাধ্যমে পূর্বের অবস্থানে বসাতে হবে।

০ পুনরায় এক্স-রে করে জোড়ার সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

০ এরপর জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া ও বেশী শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম শুরু করে তিন মাসের মধ্যে জোড়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে।

০ আবার উপযুক্ত পরিচর্যা না হলে জোড়া পুনরায় স্থানচু্যতি হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

কখন সার্জিক্যাল চিকিৎসার প্রয়োজন:

০ আঘাতের কয়েক দিনের মধ্যে স্থানচু্যতির প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে।

০ জোড়াকে টান ও প্রতিটান এবং নড়াচড়ার মাধ্যমে সঠিক স্থানে বসাতে না পারলে।

০ জন্মগত স্থানচু্যতি জোড়া কনজারভেটিভ চিকিৎসায় সঠিক স্থানে না বসালে।

০ জোড়ার লিগামেন্ট জন্মগতভাবে ঢিলা থাকলে।

০ প্রথম আঘাতের পরপরবর্তীতে অল্প আঘাতে জোড়া বার বার স্থানচু্যতি হলে।

০ বার বার স্থানচু্যতির জন্য হাড় ভাঙলে এবং পেশী দুর্বল হলে।

০ জোড়ার স্থানচু্যতির সাথে রক্তনালী ও স্নায়ুর ইনজুরি এবং হাড় ভাঙ্গা থাকলে।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা: বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে স্থানচু্যতি জোড়াকে সঠিক স্থানে বসানো হয়। অপারেশনের ২-৩ সপ্তাহ পর জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া ও পেশী শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম শুরু করে জোড়ার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

আথ্রর্োস্কোপিক চিকিৎসা: এটি হলো অর্থোপেডিক চিকিৎসায় বর্তমান যুগের সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক পদ্ধতি। যে সব জোড়া বার বার ডিসপেস্নসমেন্ট হয় বা ডিসপেস্নসন্টের প্রবণতা হয়সে সব জোড়ার ক্ষেত্রে আথ্রর্োস্কোপিক চিকিৎসা যথোপোযুক্ত। ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে ক্যামেরা যুক্ত যন্ত (স্কোপ) জোড়ায় প্রবেশ করিয়ে এবং যন্ত্রের সাথে যুক্ত বাহিরে মনিটর দেখে ল্যাবরামজোড়ার আবরণ (ক্যাপসুল) ও লিগামেন্ট রিপেয়ার করা হয়। এই পদ্ধতিতে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।

দৈনিক ইত্তেফাক, ০৫ মার্চ ২০১১

====

চুল পড়া প্রতিরোধে তিন পরামর্শ


প্রতিদিন ৫০ থেকে একশটি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে এর চেয়ে বেশি পড়লে একে সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে। ক্যামিক্যাল সমৃদ্ধ চুলের পণ্য, বয়স, বংশগতি, চুলের অযত্ন ইত্যাদি চুল পড়ার কারণ।
চুল পড়া প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. নিয়মিত ম্যাসাজ
চুল পড়া কমাতে নিয়মিত স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়,শরীর-মন শিথিল হতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায়। মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি কারণ।
  • পছন্দমতো সামান্য তেল নিন।
  • তেল হালকা গরম করে মাথায় মাখুন।
  • একে এক ঘণ্টা বা সারারাত রাখুন।
  • এরপর শ্যাম্পু করুন।
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
চুলের যত্নে রুটিন মেনে চলুন
চুল ভালো রাখতে যত্ন নেয়াটা খুব জরুরি।তাই চুলের যত্নে রুটিন মেনে চলুন।ভালো একটি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোন। তবে খুব বেশি চুল ধোয়া ক্ষতির কারণ হতে পারে। বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার নষ্ট করে এবং চুলকে শুষ্ক করে তোলে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোন। চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
সঠিক খাবার খান
চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে পুষ্টিকর খাবার খান। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এগুলো চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

0 coment�rios:

care

স্বাস্থ্যকথা

জোড়ার ডিসপ্লেসমেন্ট ও চিকিৎসা ======== জোড়া শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় জোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানব শরীরে...