প্রেগনেন্সি কেয়ার বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম... আমাদের এই ব্লগ টি একটি সমাজ সেবামূলক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঐ সব মায়েদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো.., সন্তান ধারণ করার জন্য কি কি জেনারেল নলেজ থাকা চাই, ফ্রি সেবা দেওয়া হয় এমন সব হেলথ কেয়ার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম পাবলিশ করার চেষ্টা করব ..সন্তান গর্ভে আসার পর আপনি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন ,আপনার সুন্দর একটি লাইভ গঠনে সহযোগিতা করবে আমরা আশা করি আমাদের এই দেশের প্রত্যেকটা মা এবং শিশু সবসময় নিরাপদ থাকুক..

Home Top Ad

Responsive Ads Here

কাঁচা ডিম ও দুধ কাঁচা বা কম সিদ্ধ করা ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক না। এইগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। ডিম প্রোটিনের প্...

গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু খাবার বাদ দেয়া উচিত!

কাঁচা ডিম ও দুধ

কাঁচা বা কম সিদ্ধ করা ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক না। এইগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। ডিম প্রোটিনের প্রধান উৎস। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে আছে সালমোনেলা নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার যা জ্বর,বমি বমি ভাব,ডায়রিয়া্র মত রোগের কারণ হতে পারে। ডিম ভালভাবে রান্না করে খেতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়ার ধবংস হয়ে যায়।

কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস
কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস খাওয়া যাবে না।এমন কি প্রসেসড খাবার যেমন সসেজ,সালামি,পেপারনি ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকত হবে। অর্ধসিদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।কাঁচা মাংসের মধ্যে থাকে স্যালমোনেলা, কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া এবং টক্সোপ্লাজমোসিস যা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ১৪৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় মাছ, মাংস রান্না করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু খাবার বাদ দেয়া উচিত!



 গভীর সমুদ্রের মাছ
গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকায় মাছ না থাকলে চলে? কিন্তু এই মাছ নির্ধারণেও চোখ কান খোলা রাখতে হবে। সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।যা শিশুর স্নায়ুবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর পরিমাণ বেশি হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতি সাধন হতে পারে। টুনা ফিশ, শার্ক সহ অনেক নোনা পানির মাছে মাত্রাতিরিক্ত পারদ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে যার বিষক্রিয়ায় গর্ভস্থ ভ্রুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কলিজা
কলিজা বা কলিজা দিয়ে তৈরি খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খুব ই বিপদজনক। এই সময়ে আপনার জন্য কত টুকু ভিটামিন গ্রহণ যোগ্য সেটা একজন অভিজ্ঞ ডক্টরের সাথে কথা বলে জেনে নিন। অনেকে এই সময় অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়া শুরু করে কারন তাদের ধারনা বেশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চার জন্য খুব ভালো। এটা খুব ই ভুল একটি সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন আপনার খাবারের প্রত্যেক টা ব্যাপার আপনার সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই না বুঝে না জেনে বা ডক্টরের সাথে কথা না বলে অতিরিক্ত কিছুই খাবেন না।

ক্যাফেইন
কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। । দৈনিক ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহন করা ঠিক না। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এর কারনে কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়, এছাড়া অকাল গর্ভপাতেরও ঝুঁকি থাকে। এছাড়া মাকে ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহন থেকেও বিরত থাকতে হবে। এইগুলো মা ও বাচ্চা উভয়য়ের শরীরেরই ভয়ংকর ক্ষতি সাধন করে। সুতরাং ক্যাফেইন যুক্ত চা,কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে
সুশী
আনারস

সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকায় তাজা খাদ্য রাখতে চেষ্টা করুন। রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত বা অতিরিক্ত গরম খাবার না খাওয়াই ভাল। গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভাসে যেকোনো খাবার গ্রহণ বা বর্জনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।
অপ্রয়োজনীয় ঔষুধ
গর্ভকালীন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া উচিৎ না। অপ্রয়োজনীয় কোন ঔষুধ একদম খাওয়া ঠিক না।
একজন গর্ভবতী মায়ের সচেতনতায় পারে একটি সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিতে। আশাকরি গর্ভবতী মায়েরা খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন,বুঝে-শুনে অথবা পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকায় খাবার সংযুক্ত করবেন।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা।

0 coment�rios:

care

স্বাস্থ্যকথা

জোড়ার ডিসপ্লেসমেন্ট ও চিকিৎসা ======== জোড়া শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় জোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানব শরীরে...